
‘স্বাধীনতার পর রাসেল বঙ্গবন্ধুর কাছাকাছি থাকতো। বাবাকে সে বেশি বেশি কাছে পেতে চাইতো। শেষে সে আমার বাবার সঙ্গেই চির বিদায় নিল।’-প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “এখন আমি শিশুদের মুখে রাসেলকে খুঁজে ফিরছি
এবং ভাবছি বেঁচে থাকলে রাসেল এখন দেখতে কেমন হতো।’
‘বাবার সঙ্গে দেখা করতে জেলখানায় যাওয়ার সময় আমরা রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে যেতাম। শিশু রাসেল এ পরিস্থিতি বুঝতে পারতো, কিছুই সে বলতো না।’রাসেল বুঝতো জেলখানা হচ্ছে আমার বাবার বাড়ি।
শিশু শেখ রাসেলের বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিশু রাসেলের দেহ বুলেটে ঝাঝরা করে দেয়ার মাধ্যমে খুনীরা তাদের নীতিভ্রষ্ট ও নিষ্ঠুরতা তুলে ধরেছে। এখন আমি শিশুদের মুখে রাসেলকে খুঁজে ফিরছি এবং ভাবছি বেঁচে থাকলে রাসেল এখন দেখতে কেমন হতো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়ঙ্কর সেই রাতে আততায়ীরা অনেক শিশু হত্যা করেছে। তারা হত্যাকারীদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি আইন পাস করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ওই আইন বাতিল করে ২১ বছর পর হত্যাকারেিদর বিচারের আওতায় এনেছে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের নিষ্ঠুরতা বন্ধে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের অধিকার রক্ষায় এবং তাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে তাঁর সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। -ইয়াসীন কবীর জয়।