করোনাভাইরাস সনাক্তকরণের ‘র্যাপিড ডট ব্লট কিট’ উদ্ভাবন করেছেন ড. বিজন কুমার শীল। অথচ আমরা শুভেচ্ছায় ভাসালাম ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে। দেশের প্রতি ৭১’র এই বীরযোদ্ধা ও সময়ের সাহসী মানুষটির অবদান ও কৃতিত্ব অসামান্য। কিন্তু করোনা পরীক্ষার কিট উদ্ভাবনে এখানে তিনি সহায়ক মাত্র। এর জন্য তার অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ কম। কিন্তু তাকে নানা সমীকরনে উর্ধ্বে তুলতে গিয়ে প্রকৃত উদ্ভাবক বিজন কুমার শীল ও তার টিমকে আমরা অনেকেই স্মরন করিনি ।
এবার দেখে আসি ড. বিজন কুমার শীল কে এবং তার কৃতিত্ব :
বাংলদেশ কৃষিবিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের সাবেক ছাত্র ড. বিজন কুমার শীল। ২০০৩ সালে, ড. বিজন সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি উদ্ভাবণ করেন। এই ‘র্যাপিড ডট ব্লট’ পদ্ধতিটি ড. বিজন কুমার শীলের নামে পেটেন্ট করা। পরে এটি চীন সরকার কিনে নেয় এবং সফলভাবে সার্স মোকাবেলা করে।
দেশে করোনাভাইরাস কিট উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল গণস্বাস্থ্যে কাজ করেন। ড. বিজন কুমার শীল ও তার নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাশেদ জমিরউদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
.বিভিন্ন কারণে একসময় তিনি বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে যান সিংগাপুরে, জয়েন করেন সিংগাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে। এরপর ঐ চাকরি ছেড়ে জয়েন করেন এমপি নামক একটা বায়োলজিকস আমেরিকান কোম্পানিতে, ওটার মালিক ছিলেন যুগোস্লাভিয়ার একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
এরপর নিজেই বায়োলজিক্যাল রিয়েজেন্ট তৈরি ও ব্যবসা শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে। সেখানে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি মনযোগ দেন গবেষণায়।‘ব্লাড গ্রুপ যে পদ্ধতিতে চিহ্নিত করা হয় এটা মোটামুটি সে রকমের একটি পদ্ধতি। ২০০৩ সালে যখন সার্স ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল তখন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল সিঙ্গাপুর গবেষণাগারে কয়েকজন সহকারীকে নিয়ে সার্স ভাইরাস দ্রুত নির্ণয়ের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। আজ এই অবহেলিত চিকিৎসক, গবেষক করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ কিট আবিস্কার করে দেশ ও জাতির কল্যানে এগিয়ে এসেছেন। ড. বিজন কুমার শীল, পিএইচ ডি (ইউনিভার্সিটি অব সারে, ইংল্যান্ড), ডিভিএম (ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট)(বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), এমএসসি (ফার্স্ট ক্লাশ) ইন মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইম্যুনোলজি (বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)