1
পুলিশ মণিরামপুরের বহুলালোচিত ৫শ’৪৯ বস্তা ত্রাণের সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুরও নাম রয়েছে ওই চার্জশিটে। আদালত ১ অক্টোবর অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমেন দাশ ২৭ সেপ্টেম্বর যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন। মণিরামপুর খাদ্যগুদামের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্নার বিরুদ্ধে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে তাঁর নাম চারশীটভুক্ত করা হয়নি। চার্জশিটে ছয় নম্বর অভিযুক্ত উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, মণিরামপুরের ‘ভাই ভাই রাইস মিলের’ মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ট্রাকচালক ফরিদ হালদার, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস ও জগদীশ দাস। এই পাঁচজন আটক হলেও পরে তারা জামিনে মুক্তি পান। গ্রেফতার কয়েকজন আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতার কথা জানান।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু উদ্ধারকৃত ত্রাণের চাল অধিক লাভের আশায় মজুদ রাখেন। পরে তিনি শহিদুল ও জগদীশের মাধ্যমে ওই চাল মামুনের কাছে বিক্রি করে মোট চার লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। এই চাল কেনা-বেচায় তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন মামুন, ফরিদ ও আব্দুল কুদ্দুস । তবে উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে গ্রেফতার করতে না পারায় তিনি এই চাল কোথা থেকে কীভাবে এনেছইলেন তা জানা যায়নি বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল বিকালে মামুনের চাতালে ট্রাক থেকে সরকারি চাল খালাস করার সময় মণিরামপুর থানার তৎকালীন এস আই তপনকুমার এই চাল আটক করেন। এরপর চাতাল মালিক মামুন ও ট্রাকের চালক ফরিদকে আটক ও খালাসের চেষ্টা করা ৫৪৯ বস্তা চাল জব্দ করে পুলিশ। – নিউজ৩